ইসলামের যে অধ্যায় অমুসলিমদের মধ্যে কেউ জানেই না

যে মুসলিম হয়ে জন্ম নিয়েছে না জেনে না বুঝে জীবন ভর মুসলিম হয়ে থে সে আল্লাহর আনুগত্য করতে অস্বীকার করেছেকেছে। কিন্তু নিজের জ্ঞান বুদ্ধির সব থেকে কাজে লাগিয়ে সে আল্লাহকে চিনতে পারেনি বা নির্বাচন করার নিজের নির্বাচন ক্ষমতার সীমানার মধ্যে সে আল্লাহর আনুগত্য করতে অস্বীকার করে এ ধরনের লোক হচ্ছে কুফর শব্দটির আসল অর্থ হচ্ছে কোন কিছু ঢেকে রাখা বা গোপন করা এ ধরনের লোক গোপনকারী বা কাফের বলা হয় কারণ সে তার আপন স্বভাবের উপর অজ্ঞতার পর্দা ফেলেছে সে জন্মগ্রহণ করেছে ইসলামী স্বভাব নিয়ে তার সারা দেহ ও দেহের প্রতিটি অঙ্গ কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী শহরের উপরেই কিন্তু তার পারিপার্শ্বিক তার নিজের সহযোগী সরে গেছে তার দৃষ্টি থাকে সে এই প্রকৃতি তার বিপরীতমুখী হয়ে চলার চেষ্টা করছে।

সূচীপত্রঃ ইসলামের  যে অধ্যায় অমুসলিমদের মধ্যে কেউ জানেই না


কেন “ইসলাম” নামকরণ হয়েছে

দুনিয়ায় যতরকম ধর্ম রয়েছে তার মধ্যে প্রত্যেকটি নামকরণ হয়েছে কোন বিশেষ ব্যক্তির নামে যেমন স্থায়ী ধর্মের নাম রাখা হয়েছে তার প্রচারক হযরত ঈসা আঃ সালামের নামে বৌদ্ধ ধর্ম মতের নাম রাখা হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা বোদ্ধের নামে ইহুদী ধর্ম নিয়ে ছিল ইয়াহুদা নামে বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে দুনিয়ায় আরও যেসব ধর্ম রয়েছে তাদেরও নামকরণ হয়েছে এমনিভাবে অবশ্য নামের দিক দিয়ে ইসলামের রয়েছে একটি অসাধারণ বৈশিষ্ট্য

কোন বিশেষ ব্যক্তি বা জাতির নামে তার নামের সংযোগ নাই তার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইসলামের যেসব গুণ রয়েছে তার সৃষ্টি করা হয়েছে 

ইসলাম শব্দটির অর্থ ও তার তাৎপর্য

ইসলাম শব্দটি আরবি ভাষায় ইসলাম বলতে বোঝায় আনুগত্য ও বাধ্যতা। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও তার বাধ্যতা স্বীকার করে নেওয়া এ ধর্মের লক্ষ্য বলে এর নাম হয়েছে ইসলাম। সকলেই দেখতে পাচ্ছি যে চন্দ্র সূর্য তারকা ও বিশ্বের যাবতীয় যেসব সৃষ্টির রয়েছে তা চলছে এক অপরিবর্তনীয় বিধান নেই সেই বিধানের এক চুল পরিমাণ ব্যতিক্রম হওয়ার কোন উপায় নেই দুনিয়ায় এক নির্দিষ্ট গঠিত হচ্ছে এক নির্দিষ্ট পথে অতিক্রম করে চলেছে তা চলার জন্য যে সময় যুবতী পথ নির্ধারিত হয়েছে তার কোন পরিবর্তন কখনো হয়না কখনো হয়নি। জড়ো গাছতলা পশু পাখির রাজ্যের রয়েছে তাদের নিজস্ব নিয়ম মোতাবেক দ্বারা সৃষ্টি হয় বেড়ে ওঠে বাঁচে ও মরে এক কথায় তার দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে যাচ্ছে সেই একই পদ্ধতিতে যা তাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। যে শক্তিশালী বিধানের অধীনে দুনিয়া জাহানের বৃহত্তম নক্ষত্র থেকে শুরু করে ক্ষুদ্রতম ভূমিকা পর্যন্ত সবকিছু চলতে হচ্ছে তা হচ্ছে এক মহা শক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এবং স্মৃতি পদার্থ সবাই মেনে চলে তার দেওয়া নিয়ম
চন্দ্র সূর্য তারকা গাছপালা পাথর ও জীব জানোয়ার সবাই মুসলিম যে মুসলিম বা যে মানুষ আল্লাহকে চেনে না যে তাকে অস্বীকার করে যে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে পূজা করে এবং যে আল্লাহর বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে অংশীদার ঘরে সভাপতি প্রকৃতির দিক দিয়ে সেও মুসলিম কারণ তার জীবন মৃত্যু সব কিছুই আল্লাহর বিধানের অনুসার ী তার প্রতিটি অঙ্গ তার দেহের প্রতিটি অনু ইসলাম মেনে চলে কারণ তার সৃষ্টি বৃদ্ধি ও গতি সবকিছু আল্লাহর দেওয়া নিয়মের অধীন। যে মাথা জোরপূর্বক আল্লাহ ছাড়া অপরের সামনে অবনত করছে সে জন্মগতভাবে মসজিদ তার অজ্ঞতার বস্তুতি হয়েছে হৃদয়ের মধ্যে সে অপরের প্রতি সম্মান ভালোবাসা পোষণ করে সহজ তাও সহজ ছবি দিতে মুসলিম।

আরো পড়ুন: ছাত্র জীবনে বাড়তি আয়ে এ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ইনকাম

কুফরের অনিষ্টকারিতা বলতে যা বোঝায় 

কুফর হচ্ছে এক ধরনের মূর্খতা এবং কুফরি হচ্ছে আসল মূর্খতা আল্লাহ মানুষকে না চিনে তার চেয়ে বড় মূর্খতা আর কি হতে পারে। এক ব্যক্তি দিনরাত দেখেছে সৃষ্টির এত বড় বিরাট কারখানা চলছে অথচ সে জানেনা কে এর কারখানা স্রষ্টা ও চালক কে সে কারিগর যিনি কয়লা লোহার ক্যালসিয়াম সোডিয়াম ও আরো কয়েকটি মিলিয়ে অস্তিত্ব এনেছে মানুষের মতো অসংখ্য অতুলনীয় সৃষ্টিকে মানুষ দুনিয়ার চারিদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখতে পাচ্ছে এমন সব বস্তু ও কার্যকলাপ যার ভেতরে রয়েছে মাহিন জ্ঞান বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ কোন সে সত্তা চালিয়ে যাচ্ছে সৃষ্টির এসব কার্যকল াপ যতই চিন্তা ভাবনা করুক যতই অনুসন্ধান করুক কোন দিকেই পাবে না সরল সঠিক নির্ভরযোগ্য পদ কেননা তার প্রচেষ্টা প্রাম্য শুরু ও সমাপ্তি সবিস্তারে দেখা যাচ্ছে অজ্ঞতার অন্ধকার।

উপর কেবল জুলুমই নয় বিদ্রোহ অকৃতজ্ঞতা এবং আরো অনেক কিছু এবার ভেবে দেখা যাক মানুষের আপন বলতে কি জিনিস আছে নিজের মস্তিষ্ক সে নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন নিজের দিলযোগী হাত বা আর সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সবকিছু স্রষ্টা মানুষ না আল্লাহ তার চারপাশে যত জিনিস রয়েছে তার সস্তা মানুষ না আল্লাহ তাআলা সকলেই বলবে আল্লাহর ওই এসব জিনিস তিনি এতগুলো সৃষ্টি করেছেন সব জিনিসের উপর মানুষকে আধিপত্য বিস্তার করেছেন আল্লাহ তায়ালা।



ইসলামে কল্যাণ এর কি রয়েছে

এতক্ষণ গেল কুকুরের অনিষ্টকারিতা এবার আমরা দেখব ইসলামের পথ ধরলে কি কি কল্যাণ লাভ করা যায়- উপরোক্ত বর্ণনা থেকে জানা যায় এ দুনিয়ার প্রতিটি দিকে ছড়িয়ে রয়েছে আল্লাহর ক্ষমতার অসংখ্য নিদর্শন সৃষ্টি এই বিপুল বিরাট কারখানা চলছে এক সুসম্পন্ন বিধান ও অটল কানুনের অধীন হয়ে এ ব্যবস্থাপনার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে যে তার মালিক তার স্রষ্টা মহাশক্তিমান শাসক যার ব্যবস্থাপনার মধ্যে অবাধ্য হয়ে থাকতে পারে না কেউ। কাজেই অসচেতনভাবে সে রাত দিন তারাই আনুগত্য করে যাচ্ছে কারণ তার প্রাকৃতিক নিয়মের প্রতিকূল আচরণ করে সে বেঁচে থাকতে পারে না।
কিন্তু আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান আহরণের যোগ্যতা চিন্তা ও উপলব্ধি করার শক্তি এর পার্থক্য বোঝাবার ক্ষমতা দিয়ে তাকে ইচ্ছা নির্বাচ নে স্বাধীনতা দিয়েছেন। আসলে এই আজাদের ভিতরেই মানুষের পরীক্ষা তার জ্ঞানের পরীক্ষা তার। যুক্তির পরীক্ষায় কোন বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে মানুষকে বাধ্য করা হয়নি কারণ বাধ্যতা আরোপ করলে পরীক্ষার উদ্দেশ্য এই ব্যাহত হয়ে যায় প্রশ্ন পত্র হাতে দেওয়ার পর যদি পরীক্ষার্থীকে কোন বিশেষ ধরনের জবাব দিতে বাধ্য করা হয় তাহলে সে ধরনের পরীক্ষা ফলপ্রসু হয় না পরীক্ষার্থীর আসল যোগ্যতা কেবল তখনই প্রমাণিত হবে যখন তাকে প্রত্যেক ধরনের জবাব পেশ করা স্বাধীনতা দেয় সেই সঠিক জবাব দিতে পারলে হবে সফল এবং আগামী উন্নতির দরজা খুলে যাবে তার সামনে আর ভুল জবাব দিলে হবে অকৃতকার্য ও অযোগ্যতার ধরুন নিজেই নিজের উন্নতি পথ গর্ভে অবরুদ্ধ। ঠিক একই ভাবে আল্লাহতালা মানুষকে পরীক্ষায় যে কোন পথ অবলম্বন করা স্বাধীনতা দিয়েছে। 

এ হচ্ছে ইসলাম মানুষের স্বভাব ধর্ম কোন জাতি বা দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয় এই বিধান সকল যুগের সকল জাতির মধ্যে ও সকল দেশে যেসব আল্লাহর সত্যনিষ্ঠ মানুষ অতীত হয়ে গেছেন তাদের ধর্ম তাদের আদর্শ ছিল ইসলাম তারা ছিলেন মুসলিম হয়তো তাদের ভাষায় যে বা সে ধর্মের নাম ইসলাম অথবা অপ রকে সৃষ্টি এই হচ্ছে চিরন্তন সাফল্য যা ধারাবাহিকভাবে চলে আসে দুনিয়া থেকে আখিরাতের জীবন পর্যন্ত এবং তার ধারা কখনো হারিয়ে যায় না

ঈমানের পরিচয় বলতে কি বুঝ

ঈমানের অর্থ হচ্ছে জানা এবং মেনে নেওয়া যে ব্যক্তি আল্লাহর একত্ব তার সত্যিকারের বনরাজি তার আইন-কানুন তার পুরস্কার ও শাস্তির সম্পর্কে জানে এবং অন্তরে তার সম্পর্কে প্রত্যয়ী পোষণ করে তাকে বলা হয় মুমিন ঈমানের ফল হচ্ছে এই যে তা মানুষকে অর্থাৎ আল্লাহর আনুগত্য ও আগ্রহ করে তোলে। ঈমানের পরিচয় থেকে সহজে বুঝতে পারা যায় যে ঈমান ছাড়া কোন মানুষ মুসলিম হতে পারে না বীজের সাথে গাছের যে সম্পর্কে ইসলাম ও ঈমানের সম্পর্ক ঠিক অনুরূপ। বিমান ও ইসলামের দিক দিয়েছে চার ভাগে ভাগ করা যায়

এক. যাদের ভেতরে ঈমান রয়েছে এবং যাদের ঈমান তাদেরকে আল্লাহর আদেশ-নিষদের পূর্ণ অনুগত করে দেয় যে সব কাজ আল্লাহ পছন্দ করেন তা থেকে তারা এমনভাবে দূরে থাকে যেমন মানুষ ্আগুনের স্পর্শ থেকে দূরে থাকেন। যা কিছু আল্লাহ পছন্দ করেন তা তারা তেমনি উৎসের সাথে করে যেমন উৎসার সাথে মানুষ ভন্ডলোধ কামাই করার জন্য কাজ করে যাই এটাই হচ্ছে সত্যিকারের মুসলমান

দুই. যাদের ভেতরে ঈমান রয়েছে তাদের ঈমান এতটা শক্তিশালী নয় যে তারা তাদেরকে পুরোপুরি আল্লাহর অনুগত করে তুলবে তারা কিছুটা নিম্নতর পর্যায়ের লোক ভুলেও অবশ্যই মুসলমান তারা না ফরমান হলেও অবশ্যই মুসলমান। তারা অপরাধী হলেও বিদ্রোহী নয় কারণ তারা বাদশা কে বাদশা বলে মানে এবং তার আইন কে আইন বলে স্বীকার করেন

তিন. যাদের ঈমান নেই কিন্তু প্রকাশ্যে তারা এমন সব কাজ করে যা আল্লাহর আইন মোতাবেক বলে মনে হয় প্রকৃতপক্ষে এরা বিদ্রোহী। এদের প্রকাশ্য সৎকর্ম প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আনুগত্য নয় তাই তার ওপর নির্ভর করা চলে না। তাদের তুলনা চলতে পারে সেই শ্রেণীর লোকের সাথে যারা বাদশা কে বাদশা বলে মানে না তার আইন কে আইন বলে গণ্য করে না এ ধরনের লোকের কার্যক্রম যদি আইন বিরোধী নাও হয় তথাপি তাদের বাদশাহী বিশ্বস্ত ও আইন আইনের অনুসারী বলা যায় না তারা অবশ্যই বিদ্রোহীদের মধ্যেই গণ্য হবে।

চার. যাদের ঈমান নেই এবং কর্মের দিক দিয়েও যারা দুরজন ও দুষ্কৃতিকারী এরাই হচ্ছে নির্দিষ্টতম স্তরের লোক কেননা এরা যেমন বিদ্রোহী তেমনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মানবজাতির এর শ্রেণীবিভাগ থেকে স্পষ্ট তো বোঝা যায় যে প্রকৃতপক্ষে মানুষের সাফল্য নির্ভর করে একমাত্র ঈমানের ওপর ইসলাম পূর্ণ হোক আর অপূর্ণ হউক জন্ম নেয় একমাত্র ইমানের বীজ থেকে যেখানে ঈমান নেই সেখানে ঈমানের স্থান অধিকার করে কুফর আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ তা তার তীব্রতা বেশি হোক আর কমই হোক।

খতমে নবুয়াত ও তার প্রমাণ

এ কোথায় জেনে রাখা প্রয়োজন যে এ যুগে ইসলামের সত্য সহজ ও সঠিক পথের নির্দেশ জানার জন্য হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর শিক্ষা কুরআন মাজীদ ছাড়া আর কোন মাধ্যম নেই। মোঃ সাঃ সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর নবী। । তার মাধ্যমে নবুয়তের ধারা শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ তায়ালা যেভাবে মানুষকে হেদায়েত করতে চান তার সবকিছুর নির্দেশ তিনি পাঠিয়েছেন এই নবীর মাধ্যমে। এখন যে ব্যক্তি সত্যের সন্ধানে ও আল্লাহর মুসলিম বান্দা হতে ইচ্ছুক, তার অপরিহার্য কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহর আখেরী নবীর উপর ঈমান আনা তার প্রদত্ত শিক্ষা মেনে নেওয়া এবং তার এই প্রদেশের পথ ও আচরণ করে চলা। নবী রোজ রোজ সৃষ্টি হয় না প্রত্যেক কওমের মধ্যে সব সময় নবীর আবির্ভাব হওয়ার প্রয়োজন নেই। নবীর জীবনে হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার শিক্ষা ও হেদায়েতের জীবন যতক্ষণ তার শিক্ষা ও হেদায়েত জীবন থাকে ততক্ষণ তিনি জীবিত থাকেন পূর্ববর্তী নবীদের মৃত্যু ঘটেছে কারণ যে শিক্ষা তারা নিয়ে এসেছিলেন দুনিয়ার মানুষ তা বিকৃত করে ফেলেছে। যেসব গ্রন্থ তারা নিয়ে এসেছিলেন তার কোনটিই আজ অবিকৃত অবস্থায় নেই। তাদের কেউ দাবি করতে পারছেন না যে তাদের অনুগামীরাই আজ দাবি করতে পারছেন না যে তাদের নবীর দেওয়া আসল কিতাব তাদের কাছে মজুদ রয়েছে। 

বলা যায় হযরত মুহাম্মদ সাঃ জীবিত কারণ তার শিক্ষা হেদায়েত আজও জীবন তো হয়ে রয়েছে যে কুরআন তিনি দিয়ে গেছেন সাহায্য তার মূল শব্দ সংবাদ সহ অবিভক্ত অবস্থায় মজুদ রয়েছে একটি নোক্তা একটি যবর এর পার্থক্য হয়নি কোথাও তার জীবন কাহিনী সুরক্ষিত হয়ে আছে। ১৩০০ বছরের ইতিহাস তার বর্ণনা এমন সুস্পষ্টভাবে আমরা দেখতে পাই যেন আমাদের অন্তর দিয়ে আমরা দেখছি তাকে প্রত্যক্ষভাবে সুস্পষ্টভাবে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ব্যক্তিগত জীবন কাহিনী যেমন সুরক্ষিত হয়ে রয়েছে দুনিয়ায় ইতিহাসে আর কোন ব্যক্তির জীবন কাহিনী কি করতেসমূহ ও কার্যকলাপ সবকিছুই সুরক্ষিত হয়ে আছে। আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজে প্রতিমুহূর্তে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে তাতেই প্রমাণিত হয় যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পর আর কোনো নবীর প্রয়োজন নেই।

খতমে নবুয়তের তিনটি প্রমাণ

এক. নবীর পর অপুর কোন পয়গম্বর এর আবির্ভাবের কেবলমাত্র তিনটি কারণ থাকতে পারে। যখন পূর্ববর্তী নবীর শিক্ষা হেদায়েত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং পুনরায় তা পেশ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

দুই. যখন পরবর্তীতে নবীর শিক্ষা ও সম্পূর্ণ থাকে এবং তাতে সংশোধন ও সংযোজনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
তিন. পূর্ববর্তী নবীর শিক্ষা যখন কোন বিশেষ জাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং অপর জাতি বা জাতিসংঘের জন্য অপর কোন নবী পড়ে

উপযুক্ত তিনটি কারণে কোনটি বর্তমানে পর্যন্ত হতে পারে না কারণ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর শিক্ষা ও হেদায়েত আজও জীবন তো রয়েছে এবং সেসব মাধ্যম এখন পুরোপুরি সংরক্ষিত রয়েছে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মাধ্যমে দুনিয়াকে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা দেওয়া হয়ে গেছে। এখন তার মধ্যে তেমন কিছু কমবেশি করার প্রয়োজন নেই তেমনি তার মধ্যে এমন কোন ঘাটতি নেই যা পূরণ করার জন্য আর কোন নবী আসার প্রয়োজন হবে সুতরাং দ্বিতীয় কারণটিও কোন অস্তিত্ব নেই।

তিন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কোন বিশেষ কর্মের জন্য প্রেরিত না হয়ে সকল দুনিয়ার জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন এবং সমগ্র মানবজাতির জন্য তার শিক্ষা যথেষ্ট সুতরাং এখন কোনো বিশেষ কর্মের জন্য স্বতন্ত্র নবী আসার প্রয়োজন নেই তাই তৃতীয় কারণটিও এক্ষেত্রে অচল এসব কারণে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে বলা হয়েছে বলা হয়েছে খাতামুন নাবিয়ীন অর্থাৎ যার ভেতরে ধারার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এখন আর দুনিয়ায় কোন নবীর আবির্ভাবের প্রয়োজন নেই প্রয়োজনকে বল এমন মানুষের যারা হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পথে নিজেরা চলবেন ও অপরকে চালাবেন।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ ও তাৎপর্য

আরবি ভাষায় ইলাহ শব্দের অর্থ হচ্ছে যোগ্য অর্থাৎ শ্রেষ্ঠত্ব গৌরব মুহূর্তের যে সত্তা অপছন্দের যোগ্য এবং বন্দেগী ইবাদতে যার সামনে মস্তক অবনত করা যায়। তিনি নিজে কারো মুখাপেক্ষী হবেন না অথচ সবাই তার জীবনের সকল ব্যাপারে তার মুখাপেক্ষী হবে এবং তার কাছে সাহায্য করতে বাধ্য হবে। ইলা শব্দের মধ্যে রহস্যময়দার অর্থ নিয়ে চলে এসেছে অর্থাৎ তাকে বলা যায় যা সত্যি উপর থাকবে রহস্যের আবরণ। হাসি ভাষায় খোদা হিন্দি ভাষায় দেবতা ইংরেজি ভাষায় গড, এবং দুনিয়ার অন্যান্য ভাষায় একই অর্থে বিশেষ বিশেষ শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আল্লাহর শব্দটি হচ্ছে একক লা-শরিক আল্লাহর মৌলিক নাম। 


মানব ইতিহাসের প্রাচীনতম যোগের যেসব তথ্য আমাদের মধ্যে জাতিসংঘের সন্ধান আমরা পেয়েছি প্রত্যেক যুগের মানুষ কোন না কোন পদাকে মেনে নিয়েছে এবং তুলনা কোন খোদার ইবাদত করেছে।প্রকৃতপক্ষে মানুষ বান্দা হয়ে সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সে পরিমিতাপেক্ষী দুর্বল ও অসহায়। তার অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য যে অসংখ্য জিনিসের প্রয়োজন তা তার শক্তির আধিপত্যের অধীন নয়। এ কালেমায় বিশ্বাসী ব্যক্তি কখনো সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হতে পারে না সে এমন এক আল্লাহর থেকে বিশ্বাস জমি নিয়ে আসমানের চেষ্টা মাগরিবের মালিক তামান জাহানের পালনকর্তা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার এই জেল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ প্রতি বিশ্বাস মানুষকে আল্লাহর আইনের অনুসারী করে তোলে এ কালেমা নয় কালেমার প্রতি ঈমান ও তার করে যে আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন বস্তুর সম্পর্কে অবগত আছেন। 

ইসলামে ইবাদত বলতে যা বুঝায়

আমাদের ইসলামের নবী শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পাঁচটি বিষয়ের উপর ঈমান আনে শিক্ষা দিয়েছেন।
এক    : লা শরীক আল্লাহর উপর
দুই    : আল্লাহর ফেরেশতাদের উপর
তিন   : আল্লাহর কিতাবসমূহের উপর বিশেষ করে কোরআন মাজীদের ওপর
চার  : আল্লাহর রাসূলের উপর বিশেষ করে আখেরি রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর।
পাঁচ   : আখেরাতের জীবনের ওপর
ইসলামের বুনিয়াদ হচ্ছে জন যখন এ পাঁচটি জিনিসের উপর ঈমান আনলো । মুসলিম তখনই সে মুসলমানদের দলভুক্ত হলো কিন্তু এতে কোন মুসলিম হতে পারল না পুরো মুসলিম মানুষ তখনই হতে পারবে যখন আল্লাহ তরফ থেকে হযরত মুহাম্মদ আনুগত্য করে।

ঈমান আনার পর সাথে সাথে আনুগত্য করা অপরিহার্য কর্তব্য হয়ে পড়ে এবং এ আনুগত্যের নামই হচ্ছে ইসলাম। করা যায় একজন লোক স্বীকার করে নিয়েছে একমাত্র আল্লাহ তারই ইলা এর অর্থ হচ্ছে একমাত্র তিনি তার মনি আর সে তার গোলাম একমাত্র তিনি তার আদেশদাতা কে মেনে নেওয়ার পর নাফরমানি করলে সে নিজেই নিজের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে অপরাধী হলো। সে আরো স্বীকার করে নিয়েছে যে কুরআন মাজীদ আল্লাহর কিতাব তার অর্থ হচ্ছে যা কিছু কোরআন মাজিদে রয়েছে তাকে আল্লাহর ফরমান বলে স্বীকার করে। স্বীকৃতির পর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর আনুগত্য করা তার জন্য ফরজ হয়ে গেছে সুতরাং সে পুরো মুসলিম হবে তখন যখন তার কার্যকলাপ হবে তার ঈমানের অনুরোধ তার ঈমান ও কার্যকলাপের মধ্যে যতটা তফাৎ থাকবে তার ঈমান ততটা অপূর্ণ থাকবে।

শেষ কথাঃ ইসলামের যে অধ্যায় অমুসলিমদের মধ্যে কেউ জানেই না

আমরা উপরোক্ত বিষয়গুলোতে যা জানতাম তাকে ইসলামের অধ্যায় অমুসলিমদের মধ্যে কেউ জানে না তার সারাংশ নিম ্নরূপ প্রকাশ করা যায়। এখানে আমরা যা আলোচনা করেছি তা কিছুই না বললেই চলে। আল্লাহর এই দুনিয়াতে আমার এই ক্ষুদ্র কথা আপনাদের মধ্যে খুব একটা প্রয়াস নাও পেতে পারে। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর গোটা জীবনের ছিল কোরআন মাজীদের ব্যাখ্যা নবী হওয়ার সময় থেকে শুরু করে ৩০ বছর তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পথ নির্দেশ দানের কাজে এবং আল্লাহর ইচ্ছা মর্জি অনুযায়ী জীবন যাপনের পদ্ধতি তিনি মানুষকে শিখিয়ে গেছেন তার কথা ও কাজের মাধ্যমে। তাই বলা যায় কোরআন মাজীদ শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। যাকে বলা হয় দ্যা কমপ্লিট কোড অফ লাইফ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বঙ্গবাজ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url