মুক্তপেশা বা ফ্রিল্যান্সিং কি? সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নিন।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন তখনই যখন আপনি এই পেশায় দক্ষ হয়ে উঠবেন। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন ফেসবুক টুইটার বা অন্য যেকোনো সাইট এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিয়মিত পোস্ট করে এড সেন্সের মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
মুক্তপেশা বা ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি স্বাধীন পেশা। যেখানে কোন ব্যক্তি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন কাজ করে থাকে। এটি স্বাধারনত ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই কাজগুলি করা হয়ে থাকে। এবং এই কাজের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার যে কোন জায়গা থেকে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ধারণা নিতে হলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আগে জানতে হবেঃ

১। ইন্টারনেট ভিত্তিক:

বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং তাদের কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করে থাকে। তবে অফলাইনেও কিছু কাজ করা যায়।

২। ক্ষেত্র সমূহঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টসহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।

৩। আয় কেমন হতে পারেঃ

সঠিক নিয়ম, যোগাযোগে কলাকৌশল এবং দক্ষ হতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে চাকরির চেয়ে বেশি আয় করা সম্ভব। তবে এতে কিছুটা আপেক্ষিকতা কাজ করে।

৪। ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু সুবিধাঃ

ব্যক্তি স্বাধীনতা:  এতে নিজের পছন্দমত কাজ করার সুযোগ থাকে। যা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা বাড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন কাজের সুযোগ: বিভিন্ন প্রকারের কাজ করার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।

উচ্চ আয়: ভালো দক্ষ হতে পারলে এতে চাকরির চেয়ে বেশি আয় করা সম্ভব হয়।  এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে উন্নত বিশ্বের বাজারে নিজের অবস্থান তৈরী করা সম্ভব হয়।

৫। ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু অসুবিধাঃ

নিরাপত্তা ও কাজের অভাব: এখানে নিয়মিত কাজের অনিশ্চয়তা বা মাঝে মধ্যে কাজের অভাব হতে পারে। এবং সাথে সাথে এতে আপনার কাজের নিরাপত্তারও অভাব হতে পারে।

পারস্পরিক প্রতিযোগীতা: এই কাজে মার্কেটপ্লেসগুলোতে  পারস্পরিক কাজে অনেক প্রতিযোগী থাকে। ফলে কাজ পেতে বা মার্কেটে অবস্থান তৈরী করতে বেশ সময় লাগে।

আরো পড়ুনঃ AI কী? AI না জানলে কি চাকরি শেষ?

৬। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ

দক্ষতা অর্জন: একটি কাজে দ্ক্ষ না হয়ে একাধিক কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই এতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।

কাজ খোঁজা: ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে প্রথমেই মার্কেটপ্লেস গুলোতে নিজের নামে একাউন্টস খুলতে হয়। তারপরে দক্ষতা ভিত্তিক সাইটে গিয়ে নিজের পারিশ্রমিক বুঝে আবেদন করতে হবে।

যোগাযোগ রক্ষা করা: কাজের জন্য ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। নিয়মিত যোগাযোগ না করা হলে কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। 

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে একটি জনপ্রিয় পেশা। যা অনেকের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে কাজ করে থাকে।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বঙ্গবাজ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url