AI কী? AI না জানলে কি চাকরি শেষ?

 

অর্থাৎ কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্ত্বা হলো মানুষের বুদ্ধিমত্ত্বার মত কাজ করার জন্য ডিজাইন করা একটি প্রযুক্তি। যা কম্পিউটার সিস্টেমকে প্রক্রিয়া করে সমস্যার সমাধান ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়ে থাকে। 

এআই ২টি প্রধান অংশে কাজ করে থাকে। তা হলোঃ ১. তথ্য গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ: এআই সিস্টেম থেকে তথ্য গ্রহন করে এবং তারপর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে। এই তথ্য হতে পারে টেক্সট, ছবি, অডিও বা অন্য যেকোনো ধরণের তথ্য। ২. অ্যালগরিদম ও মডেলিং: এর সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে অ্যালগরিদম এবং মডেল তৈরী করে। এআই সিস্টেমগুলো বিভিন্ন ভাবে কাজ করে, যেমন: মেশিন র্লানিং, ডিপ র্লানিং, প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ।

 

বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা যেন নতুন শিল্পবিপ্লবের শুরু করেছে। অফিস থেকে কলসেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা থেকে সাংবাদিকতা প্রায় সব ক্ষেত্রেই সব পেশাতেই এআই প্রভাব বিস্তার করছে। 
ফলে প্রশ্ন উঠছে- “AI না জানলে কি চাকরি শেষ?” এই প্রশ্ন শুধু চাকরীপ্রার্থীদের নয়, বরং তা চাকরিতে বহাল থাকা অনেক মানুষকেও প্রশ্নের সম্মুখিন করছে।


এআই এখন আর কেবল গবেষণাগারের বিষয় নয়, বরং  তা সাধারণ কর্মক্ষেত্রের এক বিশাল অংশ হয়ে উঠেছে। যেমনঃ
চ্যাটবট ও অটোমেশন টুলস সহ অন্যান্য বিষয় কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের জায়গা করে নিয়েছে।
ডেটা অ্যানালাইসি ও রিপোর্টিং এর ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক বেশি এবং অনেক দক্ষ।
কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইন বা ভয়েসওভার এর ক্ষেত্রের এআই এখন মানুষের প্রতিযোগী।

বিশ্বব্যাপী গবেষণায় বলছে, যে কাজগুলো নিয়মিত, পূর্বনির্ধারিত ও পুনরাবৃত্তিমলক- সেগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। 
যেমনঃ 
  • ডেটা এন্ট্রি
  • কনভেনশনাল এ্যাকাউন্টিং
  • কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ
  • প্রাথমিক স্তরের রিপোর্ট লেখক

না। বরং এআই জানা না থাকাই আজকের দিনে বড় প্রতিবন্ধকতা। যারা এআই জানেন না বা শিখতে আগ্রহী নন, তারা ভবিষ্যতের চাকরি বাজারে বিভিন্ন প্র্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়বেন। তাই আমাদের AI কে শত্রু না ভেবে যদি তাকে সহকারী হিসেবে গ্রহণ করতে পারি সেটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

কাজের গতি ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়।
কম সময়ে বেশি আউটপুট বা কাজ দেওয়া সম্ভব হয়।
নতুন ক্যারিয়ার করার সুযোগ, যেমন-AI প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ার, অ্যানালিটিক্স স্টেশালিস্ট  ইত্যাদি ।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটেও প্রচুর চাহিদা ।

  • স্কুল, কলেজ পর্যায় থেকে AI ভিত্তিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা।
  • সাধারণ চাকুরিজীবীদের জন্য AI  কোর্স ও স্কিলিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করা।
  • ব্যক্তি পর্যায়ে AI সম্পর্কে সচেতনতা ও চর্চা বাড়ানো।

 

চাকরি শেষ হয়ে যাবে কিনা , তা নির্ভর করে আপনি AI  শিখছেন কিনা, তার উপর। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে AI শুধু জানা নয়, তার উপর দক্ষতাও অর্জন করতে হবে।
এক কথায়---“AI জানলেই ভবিষ্যতের চাকরি নিরাপদ”।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বঙ্গবাজ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url