ইসলামী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যঃ
এই সম্পর্কে কুরআন শরীফের উক্তি
ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা
﴿إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالإِحْسَانِ﴾
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচার, সদাচরণ এবং আত্মীয়স্বজনকে দান করার আদেশ
দেন।”
📖 সূরা নাহল (১৬:৯০)
➡ ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সমাজে ন্যায়বিচার ও সদাচরণ প্রতিষ্ঠা করা।
আর সেসব অকল্যাণ ও পাপ অনুষ্ঠানকে বাতিল করবে, পরাজিত করবে এবং নিঃশেষে বিলিন
করবে।মানুষের জীবনে যে সবের স্পর্শ মাত্রকেও আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না
ইসলামের রাজ্যের শৃঙ্খলা সম্মিলিত ইচ্ছা-বাসনা চরিতার্থ করাও এর লক্ষ্য নয়।
ইসলাম রাষ্ট্রের সম্মুখে এমন এক উচ্চতম ও উন্নতর লক্ষ্য উপস্থিত করে, যা
অর্জন করা একান্তভাবে কর্তব্য। তা এই যে, আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে যে কল্যাণের
উৎকর্ষ দেখতে চান তাকে বিকশিত ও ফুলে-ফুলে সুশোভিত করতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ ইসলামে পারিবারিক জীবনের পদ্ধতি।
হাদীসের আলোকে ইসলামী রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, এবং প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।”
(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
তিনি আরও বলেন:
“ইমাম (রাষ্ট্রপ্রধান) হলো একজন অভিভাবক, এবং তিনি তার প্রজাদের ব্যাপারে জবাবদিহি করবেন।”
এই হাদীস, ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধানের নৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। জনগণের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার রক্ষা করা তার ওপর ফরজ।
class="ph-oit-b আর ধ্বংস ও উচ্ছৃঙ্খলতার এবং এমন সমস্ত উপায়ের উৎসমুখ
চিরতরে বন্ধ করতে হবে যা আল্লাহ তায়ালার দৃষ্টিতে তাঁর এ রাজ্যকে ধ্বংস
করতে পারে, তাঁর সৃষ্টি মানব জাতির জীবন নষ্ট করতে পারে। এ লক্ষ্য উপস্থিত
করার সাথে সাথে ইসলাম আমাদের কল্যাণকে এবং অকল্যাণগুলোকে একেবারে পরিষ্কার
করে দেয়া হয়েছে। এ চিত্র সামনে রেখে ইসলামী রাষ্ট্র প্রত্যেক যুগে এবং সকল
প্রকার পারিপার্শ্বিকতার মধ্যেই তার নিজ সংশোধনী প্রোগ্রাম রচনা করতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ ইসলামে মানব সেবা
আরো পড়ুনঃ নার্সিং কেন পড়বেন?
দ্যা বঙ্গবাজ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url